চাঁদের আলো পরেছে তোমার এলো চুলে। ভারি সুন্দর। যে শব্দটা শুনতে পাচ্ছ ওটা ব্যাঙের ডাক। থেমে যাবে কিছুক্ষণ বাদে। ওতে প্রেমের কোনও ব্যাঘাত ঘটে না। ওটাও প্রেমেরই ডাক। দূরে মাঠের প্রান্তে আন্ধকারটা বড্ড বেশী। সুধু একটা তালগাছ মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে আকাশের প্রেক্ষাপটে। তালগাছটা বড্ড একা। তাই নয় কি? প্রেমের গান তুমি গাইতে পারো না তা আমি অনেকদিন আগেই জেনেছি। তাতে কিছু আসে যায় না। তুমি নীরব থেকেই অনেক কিছু বলে ফেলো। আমিও শুনি নীরবে। দেখো, এই নীরবতা যেন কোনদিন ভঙ্গ না হয়। ঝি ঝি পোকার ডাকটা আর শুনতে পাচ্ছি না। বোধহয় ব্যাঙটা ওকে খেয়ে ফেলেছে। ব্যাঙ ঝি ঝি পোকা খায় কি? জানি না। তবে দুর্ভিক্ষের সময় নিশ্চয় খায়। ব্যাঙ আর ঝি ঝি পোকা, কোনোটাই দিনে ডাকে না। আমি তো শুনিনি। এরই সঙ্গে মনে পরলো প্যাঁচার কথা। ওরাও বিচরণ করে সুধুমাত্র রাতের বেলায়। ইঁদুর ধরতে। প্রেম জমাতে এদের কোনও জুরি নেই।
চাঁদটা চলে গেলো মেঘের আড়ালে। গাঢ় হলো অন্ধকার। এই অন্ধকারে তোমার অস্তিত্ব অনুভব করে নিজেকে বেশ মস্ত কেউ একটা মনে হচ্ছে। দিনের আলোয় এমনটা কখনও হয় না। দিনটা কেজো লোকেদের জন্য। আর রাতটা যত বাউন্ডুলে অকাজের লোকেদের বিচরণ ক্ষেত্র। যখন আর কোনও কিছু ভালো লাগে না তখন তোমার সান্নিধ্যই পেতে ইচ্ছা হয়। তাতে নতুন করে ভালোলাগার জন্ম হয়। চাঁদেরও ঠিক এমনটাই হয়। ওরও মেঘের সাথে যত লুকোচুরি খেলা। যা বললাম এতক্ষণ, বাস্তবের সাথে বোধহয় এর কোনও মিল নেই। সুধুমাত্র প্যাঁচার ইঁদুর ধরা ছাড়া। বেচারা ইঁদুর। রাতের অন্ধকারেও রেহাই নেই। একবার এক ইদুর তাই ছন্দ মিলিয়ে দু চার পঙক্তি লিখেছিল।
"দিনে কাক, রাতে প্যাঁচা,
সাঙ্গ হবে আমার বাঁচা,
মানুষ তার সঙ্গে জুটে
দেখলেই মারে লাঠির খোঁচা।"
কে যেন কবে একটা নাটক লিখেছিলেন। নাম দিয়েছিলেন 'মরবে ইঁদুর বেচারা'। নাটকটা পড়ে দেখিনি কখনও। তবে ইঁদুরের দুর্গতির কথা বেশ অনুমান করতে পারছি। যাই হোক, এ প্রবন্ধের যবনিকা পাত এখানেই হওয়া উচিত। নয়ত পাঠক পাঠিকাদের হাতে খুব শীঘ্রই আমারও ইঁদুরের দশা হবে।
Tweet
No comments:
Post a Comment
অনুগ্রহ করে আপনার ব্ক্তব্য এইখানে অবশ্যই লিখুন......