কেহ, কেহ কম বুদ্ধিবসতঃ জীবনে প্রচুর রেলগাড়ি "মিস্" করে। দৌড়াইয়া, লাফাইয়া ইস্টিশনে পৌছায় বটে, তবে রেলগাড়িতে চাপিতে পারে না। গাড়ি আগেই ছাড়িয়া চলিয়া যায়। ইহারা তাহারা নহে, যাহারা হাতে টিকিট লইয়া ঘরে বসিয়া থাকে, ইস্টিশনে যায়ই না। তাহারা অন্য জাতীয়।
সমপরিমাণ বুদ্ধি একটি হনুমানের মাথায় বেশী কাজ দেয় মানুষের মাথার তুলনায়। মানুষের মাথায় একই বুদ্ধি কম কাজ দেয় কারণ তাহা হ্রাস পাইয়া যায় মানুষের জেদের বশে, মানুষের অহংকারের কারণে।
যদি সত্যই কাহাকেও ভালবাসিতে চাও, তবে তাহার দোষ, গুণ বিচারের ঊর্ধ্বে উঠিতে হইবে।
কাহাকেও সম্মান দেখাইতে কোনও অসুবিধা হয় না, যদি সেও আমাকে যথেষ্টই সম্মান প্রদান করে।
একবিংশ শতাব্দীর শুরু হইতেই নারদ স্বর্গে বসিয়া শুধু বগল বাজাইতেছেন, এবং চতুর্দিকে অবিরাম উদ্দাম নৃত্য চলিতেছে। দেবতাগণ বোধকরি নিদ্রা গিয়াছেন।
মানুষ ভূ ছাড়িয়া ঊর্ধ্বে উঠিয়াছে বহুকাল আগেই, ইহার পর বাতাসে হাঁটিবে। ভূএর প্রয়োজন একেবারে মিটিয়া যাইবে নাকি?
একটা দিন সর্বতোভাবে সম্পূর্ণ না হইলে দিনশেষে সুখনিদ্রাও ভোগ করা যায় না। এমনটাই তো প্রতিটি দিন। কথা বলার মনের মানুষটিকে তাই তো চাই।
আজ হইতে ত্রিশ পঁয়ত্রিশ বৎসর পূর্বে মুদি দোকানে কোনও জিনিস খরিদ করিতে গেলে আমিই থাকিতাম একমাত্র খরিদ্দার ওই সময়টুকুতে, অথবা এক, দুইজন ক্রেতা আমার পূর্বে থাকিত। এবং তাহাদের ফর্দও থাকিত খুব সংক্ষিপ্ত। আজ ক্রেতার সংখ্যাও বাড়িয়াছে, সেই সঙ্গে ফর্দের দৈর্ঘ্যও। ফল স্বরূপ মনে বিরক্তির উদ্রেক হয় প্রায়শই।
ঝরা পাতা আমারে ডাকিয়া কয়, "তোমাদের ভাবনাগুলির মধ্যে পটাসিয়াম সায়ানাইডের বিষ ঢুকিয়া গিয়াছে। মূল্যবোধগুলি সব কোয়াসিমোডোর বিকৃত চেহারা ধারণ করিয়াছে। কোয়াসিমোডোর বিকৃত চেহারার রূপটি না আঁকড়াইয়া তাহার মনের হদিস পাইবার চেষ্টা করো। প্যারিসের ন্যোটর ড্যাম ক্যাথেড্রালের আশেপাশের অলিতে, গলিতে আজও তার মহানুভবতার বাতাস খেলিয়া বেড়ায়। সেই বাতাসে শ্বাস লইয়া আইসো। খুঁজিলে হয়ত এস্মেরালডার সরলতা ও রূপ-লাবণ্যের মহিমার অনুভবও পাইতে পারো।"
Tweet
সমপরিমাণ বুদ্ধি একটি হনুমানের মাথায় বেশী কাজ দেয় মানুষের মাথার তুলনায়। মানুষের মাথায় একই বুদ্ধি কম কাজ দেয় কারণ তাহা হ্রাস পাইয়া যায় মানুষের জেদের বশে, মানুষের অহংকারের কারণে।
যদি সত্যই কাহাকেও ভালবাসিতে চাও, তবে তাহার দোষ, গুণ বিচারের ঊর্ধ্বে উঠিতে হইবে।
কাহাকেও সম্মান দেখাইতে কোনও অসুবিধা হয় না, যদি সেও আমাকে যথেষ্টই সম্মান প্রদান করে।
একবিংশ শতাব্দীর শুরু হইতেই নারদ স্বর্গে বসিয়া শুধু বগল বাজাইতেছেন, এবং চতুর্দিকে অবিরাম উদ্দাম নৃত্য চলিতেছে। দেবতাগণ বোধকরি নিদ্রা গিয়াছেন।
মানুষ ভূ ছাড়িয়া ঊর্ধ্বে উঠিয়াছে বহুকাল আগেই, ইহার পর বাতাসে হাঁটিবে। ভূএর প্রয়োজন একেবারে মিটিয়া যাইবে নাকি?
একটা দিন সর্বতোভাবে সম্পূর্ণ না হইলে দিনশেষে সুখনিদ্রাও ভোগ করা যায় না। এমনটাই তো প্রতিটি দিন। কথা বলার মনের মানুষটিকে তাই তো চাই।
আজ হইতে ত্রিশ পঁয়ত্রিশ বৎসর পূর্বে মুদি দোকানে কোনও জিনিস খরিদ করিতে গেলে আমিই থাকিতাম একমাত্র খরিদ্দার ওই সময়টুকুতে, অথবা এক, দুইজন ক্রেতা আমার পূর্বে থাকিত। এবং তাহাদের ফর্দও থাকিত খুব সংক্ষিপ্ত। আজ ক্রেতার সংখ্যাও বাড়িয়াছে, সেই সঙ্গে ফর্দের দৈর্ঘ্যও। ফল স্বরূপ মনে বিরক্তির উদ্রেক হয় প্রায়শই।
ঝরা পাতা আমারে ডাকিয়া কয়, "তোমাদের ভাবনাগুলির মধ্যে পটাসিয়াম সায়ানাইডের বিষ ঢুকিয়া গিয়াছে। মূল্যবোধগুলি সব কোয়াসিমোডোর বিকৃত চেহারা ধারণ করিয়াছে। কোয়াসিমোডোর বিকৃত চেহারার রূপটি না আঁকড়াইয়া তাহার মনের হদিস পাইবার চেষ্টা করো। প্যারিসের ন্যোটর ড্যাম ক্যাথেড্রালের আশেপাশের অলিতে, গলিতে আজও তার মহানুভবতার বাতাস খেলিয়া বেড়ায়। সেই বাতাসে শ্বাস লইয়া আইসো। খুঁজিলে হয়ত এস্মেরালডার সরলতা ও রূপ-লাবণ্যের মহিমার অনুভবও পাইতে পারো।"
No comments:
Post a Comment
অনুগ্রহ করে আপনার ব্ক্তব্য এইখানে অবশ্যই লিখুন......